প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রশিক্ষকদের পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। নবারুণ শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম প্রকৌশলী মনোয়ারুল হাসান বিপ্লব স্যারের পরিকল্পনায় নারী বান্ধব শিক্ষার জন্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নবারুণ গার্লস স্কুল’। গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় বছরেই অর্থাৎ ২০১১ সালের ০৯ নভেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাঁর সহধর্মিণী ডাঃ নাহিদ রোকসানা লোপাসহ মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেই সাথে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্মরণসভার প্রস্তাব অনুসারে ‘নবারুণ গার্লস স্কুলের’ নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’। তাঁদের স্মৃতিকে ধারণ করে আজ প্রতিষ্ঠানটি পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। শেরপুরে নারী শিক্ষার মান ও লক্ষ্য পুরণের জন্য ২০১২ সাল থেকে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপ্লব-লোপা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এই শিক্ষা বৃত্তি প্রাপ্তির মাধ্যমে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী তার শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সঠিকভাবে চালাতে পারছে। বিপ্লব-লোপা শিক্ষা বৃত্তি পরিষদ ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে শিক্ষা বৃত্তির পাশাপাশি প্লে শ্রেণি থেকে ঝঃফ-ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন ও পুরাতন সকল শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি, সেশন চার্জ বিপ্লব-লোপা শিক্ষা বৃত্তি থেকে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে অত্র বিদ্যালয়ের প্লে শ্রেণি থেকে ঝঃফ-ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী শুধুমাত্র মাসিক খরচাদি প্রদান সাপেক্ষে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। মেয়েদের মেধা ও মননের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করে নারীদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দৃপ্ত শপথ নিয়ে সম্মানিত অভিভাবক ও শুভাকাক্সক্ষীদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমারা এগিয়ে যাব বহুদুর এ প্রত্যাশা রাখি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত উত্তরা ১১ সেক্টর এলাকায় দিয়াবারি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে কলেজটি দাঁড়িয়ে আছে। রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদলে তৃতীয় হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র ছেলে এবং মেয়ে উভয় এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারে